0
  Client Area
ওয়েবসাইট দরকার? যেসব কারণে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও

ওয়েবসাইট দরকার? যেসব কারণে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও

একটি ওয়েবসাইট থাকার বিশেষ ৬টি সুবিধাঃ

১। ইউনিক বা অদ্বিতীয় পরিচয়
২। প্রতিষ্ঠানের নামই ইউনিক পরিচয় যা বোধগম্য এবং মনে রাখার মত। যেমনঃ www.itbondbu.com
৩। নিজেদের সেবা বা পন্যগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়।
৪। অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পণ্য বিক্রিও করতে পারবেন।
৫। সকল কার্যক্রম, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নাম্বার সহ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা যায়।
৬। থার্ড পার্টি ইমেইল ঠিকানার পরিবর্তে নিজের নিয়ন্ত্রনাধীন ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করা যায়। এটা বিজনেস মেইল হিসেবেও পরিচিত। যেমনঃ [email protected], [email protected]
বিজনেস মেইলেই মাধ্যমে সহজেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা ওমুক কোম্পানির কেউ পাঠিয়েছে কারণ শেষে কোম্পানির ওয়েব এড্রেস আছে।

সুতরাং বলা যায়, এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট অপরিহার্য হয়ে উঠছে।


যখন আপনি কাউকে একটি সম্পুর্ণ ওয়েবসাইট বানানোর কাজ দেন তখন পুরো কাজটা ৩টি ভিন্নরকম সার্ভিসে ভাগ হয়ে যায়। ১। ডোমেইন নাম ২। ওয়েব হোস্টিং/সার্ভার এবং ৩। কোড (ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট)

অনেকেই এই ৩টি বিষয়ে বেসিক ধারণা না থাকায় প্রতারণার স্বীকার বেশী হয়ে থাকেন। সংক্ষেপে নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ তাহলেই বিষয়টা বুঝতে পারবে।

১। ডোমেইন নামঃ

এটাই মুলত কোনো ওয়েবসাইটের মেইন পরিচয় বা ঠিকানা। যেমনঃ itbondhu.com
কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমেই ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। সচরাচর রেজিস্ট্রেশন করার সময় সবাই ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ পায় এবং ডোমেইন নামটির মালিকানা ধরে রাখতে একটা নির্দিষ্ট পরিমান রিনিউয়াল/নবায়ন ফী দিতে হয়। যেকোনো সময় অগ্রীম পেমেন্ট করে কয়েক বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারে। নামের শেষে যেই এক্সটেনশন লাগানো থাকবে (যেমন .com, .net, .org, .xyz etc) সেটার উপরই রেজিস্ট্রেশন চার্জ এবং রিনিউয়াল খরচ নির্ভর করে।

২। হোস্টিংঃ

সার্ভার/হোস্টিং মুলত এমনই সার্ভিস যার মধ্যেই মুলত আপনার ওয়েবসাইটে যেই টেক্সট/ছবি/ভিডিও/অন্য ফাইল প্রদর্শন করতে পারবেন। হোস্টিং সার্ভিসে মুলত আপনার সাথে কোনো একটি কম্পিউটারের নির্দিষ্ট পরিমান রিসোর্স, স্টোরেজ স্পেস ব্যবহার করতে দেয়া হয়। যেমনঃ ৫ জিবি স্টোরেজ স্পেস, ২ জিবি র‍্যাম সহ আরও কিছু রিসোর্স। এই সার্ভার/কম্পিউটার গুলো সরাসরি আপনি/আমি দেখতে না পারলেও এগুলো কোনো না কোনো ডাটাসেন্টারে ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে। শেয়ার করা কম্পিউটার টা যতক্ষন চালু থাকবে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে ততক্ষণই ওয়েবসাইট এ ঢুকা যাবে।
যেহেতু আপনার ওয়েবসাইট সচল রাখার জন্য কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে, সেহেতু হোস্টিং সার্ভিসের জন্যও প্রতি মাসে বা বছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ফী দিতে হয়।

৩। ওয়েবসাইট ডিজাইন (কোড):

ডোমেইন আর হোস্টিং এ তো শুধুমাত্র ঠিকানা আর ফাইল রাখায়ার জন্য জায়গা নিশ্চিত করে, কিন্ত ওয়েবসাইটের ঠিকানায় ব্রাউজ করলে কি কি দেখাবে, কিভাবে দেখাবে, কতটুকু নিরাপদ থাকবে এই কাজগুলো আলাদাভাবে করে নিতে হয়।

এই পর্যায়ে দক্ষ ডেভেলপার দিয়ে কাজ করালে তাকে তার ডিমান্ড অনুযায়ী টাকা দিলেই হয়। সে একবার দক্ষতা দিয়ে ডিজাইন এবং ডেভেলপ করে দিলেই মুটামুটি কমপ্লিট ওয়েবসাইটে পরিনত হয়। এরপর সে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট বুঝিয়ে দিলে আপনি নিজেই বিভিন্ন পোস্ট করতে পারবেন, সব কিছু আপডেট রাখতে পারবেন। কয়েক মাস/বছর পর পর ওয়েবসাইট এর খুটিনাটি চেক করা, আপডেট করা এবং নতুন কিছু সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রেই ডেভেলপারের কাছ থেকে হেল্প নিতে হবে।

এবার একটু মনযোগ দিয়ে খেয়াল করুনঃ

আপনার ওয়েবসাইট বানানোর পর আপনি আপনার কোম্পানির সকল যায়গায় ওয়েবসাইট ঠিকানা ব্যববার করবেন। এমনকি বিজনেস মেইল ও ব্যবহার করবেন। দেখা যাবে, আপনার ব্যবসার নামের পরিচিতির জন্য হয়ত কয়েক লাখ টাকাও খরচ করবেন। “এর কয়েক মাস/বছর পর হটাত করে যদি দেখেন ওয়েবসাইটে ঢুকা যাচ্ছে না, তখন কেমন লাগবে? তারপর যদি দেখেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা করছে? ডোমেইন নামের মালিকানা পরবর্তিত হলে ঝামেলা সমাধান করবেন কিভাবে? অন্য কারও ব্যবসার তথ্য দেখায়?”

বর্তমানে ৭০% বাংলাদেশী মানুষই জানেনা যে তার ডোমেইন নাম সহ ওয়েবসাইট সম্পুর্ণভাবেই অন্যের মালিকানায় এবং এগুলো নিয়ে বিপদে পরার ঝুকিতে আছে।

লক্ষনীয়ঃ

ওয়েবসাইট হলো কয়েকটি সার্ভিসের সমন্বয়। কোনো একটি সার্ভিস বন্ধ থাকলে সম্পুর্ণ ওয়েবসাইটই বন্ধ থাকবে।

মাথায় রাখতে হবে, মানসম্মত সার্ভিসের ক্ষেত্রে খরচ একটু বেশী হবেই। কম খরচের আশায় ফেইসবুকে/গুগলে বিজ্ঞাপনের ফাদে পা দিয়ে লাভ নেই। হয়ত আপনাকে সাময়িক সময়ের জন্য ওয়েবসাইট বুঝিয়ে দিতে পারবে, কিন্ত পরবর্তীতে দেখা যাবে ২-৩ মাস পর আপনি যাদের কাছ থেকে সার্ভিস নিবেন তারা ওয়েব হোস্টিং সার্ভিসের জন্য ডাটা সেন্টারের টাকা পরিশোধ করবেনা। এবং ফলশ্রুতিতে আপনি আপনার সবকিছুই হারাবেন। তাছাড়াও, দক্ষ এবং বিশস্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া কাজ করানোর কয়েক মাস/দিন পরে হটাত হ্যাকিং, বাগ সহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধান পাওয়া ঝামেলার হয়।


আমরা আপনাকে কিভাবে সহযোগীতা করতে পারি?

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোম্পানি আইটি বন্ধু লিমিটেড মানসম্মত সেবার জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং তারকারাও আমাদের উপর আস্থা রাখে এবং সার্ভিস ব্যবহার করে। যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সহ অন্যান্য আইটি সেবার জন্য কল করুন আমাদের হটলাইন নাম্বারে: 01938001000


যা না জানলে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও! এক নজরে জেনে নিন ভিডিও থেকে!
About the Author
IT Bondhu Limited
IT Bondhu Limited is a company that provides IT solutions, edu-tech, training, e-commerce, selling products and services both online and offline. IT Bondhu Limited Provides better IT Solutions like Ultra Fast Web Hosting, App & Website Development, Domain Ragistration, Graphic Design, Digital Marketing etc.