0
  Client Area
“BondhuERP SMS System” for Academic Institutions in Bangladesh

“BondhuERP SMS System” for Academic Institutions in Bangladesh

সংক্ষিপ্ত সুবিধা/বিবরণ

যে ধরণের SMS পাঠাতে পারেন

মানসম্মত সেবা

IT Bondhu Limited
www.itbondhu.com || [email protected] || +8801938001000
Islam Mansion (5th floor), House 39, Road 126, Gulshan-1, Dhaka -1212 

All rights reserved.

ওয়েবসাইট দরকার? যেসব কারণে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও

ওয়েবসাইট দরকার? যেসব কারণে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও

একটি ওয়েবসাইট থাকার বিশেষ ৬টি সুবিধাঃ

১। ইউনিক বা অদ্বিতীয় পরিচয়
২। প্রতিষ্ঠানের নামই ইউনিক পরিচয় যা বোধগম্য এবং মনে রাখার মত। যেমনঃ www.itbondbu.com
৩। নিজেদের সেবা বা পন্যগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়।
৪। অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের কাছে পণ্য বিক্রিও করতে পারবেন।
৫। সকল কার্যক্রম, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নাম্বার সহ যাবতীয় তথ্য তুলে ধরা যায়।
৬। থার্ড পার্টি ইমেইল ঠিকানার পরিবর্তে নিজের নিয়ন্ত্রনাধীন ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করা যায়। এটা বিজনেস মেইল হিসেবেও পরিচিত। যেমনঃ [email protected], [email protected]
বিজনেস মেইলেই মাধ্যমে সহজেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা ওমুক কোম্পানির কেউ পাঠিয়েছে কারণ শেষে কোম্পানির ওয়েব এড্রেস আছে।

সুতরাং বলা যায়, এখন প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট অপরিহার্য হয়ে উঠছে।


যখন আপনি কাউকে একটি সম্পুর্ণ ওয়েবসাইট বানানোর কাজ দেন তখন পুরো কাজটা ৩টি ভিন্নরকম সার্ভিসে ভাগ হয়ে যায়। ১। ডোমেইন নাম ২। ওয়েব হোস্টিং/সার্ভার এবং ৩। কোড (ডিজাইন & ডেভেলপমেন্ট)

অনেকেই এই ৩টি বিষয়ে বেসিক ধারণা না থাকায় প্রতারণার স্বীকার বেশী হয়ে থাকেন। সংক্ষেপে নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ তাহলেই বিষয়টা বুঝতে পারবে।

১। ডোমেইন নামঃ

এটাই মুলত কোনো ওয়েবসাইটের মেইন পরিচয় বা ঠিকানা। যেমনঃ itbondhu.com
কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমেই ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। সচরাচর রেজিস্ট্রেশন করার সময় সবাই ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ পায় এবং ডোমেইন নামটির মালিকানা ধরে রাখতে একটা নির্দিষ্ট পরিমান রিনিউয়াল/নবায়ন ফী দিতে হয়। যেকোনো সময় অগ্রীম পেমেন্ট করে কয়েক বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারে। নামের শেষে যেই এক্সটেনশন লাগানো থাকবে (যেমন .com, .net, .org, .xyz etc) সেটার উপরই রেজিস্ট্রেশন চার্জ এবং রিনিউয়াল খরচ নির্ভর করে।

২। হোস্টিংঃ

সার্ভার/হোস্টিং মুলত এমনই সার্ভিস যার মধ্যেই মুলত আপনার ওয়েবসাইটে যেই টেক্সট/ছবি/ভিডিও/অন্য ফাইল প্রদর্শন করতে পারবেন। হোস্টিং সার্ভিসে মুলত আপনার সাথে কোনো একটি কম্পিউটারের নির্দিষ্ট পরিমান রিসোর্স, স্টোরেজ স্পেস ব্যবহার করতে দেয়া হয়। যেমনঃ ৫ জিবি স্টোরেজ স্পেস, ২ জিবি র‍্যাম সহ আরও কিছু রিসোর্স। এই সার্ভার/কম্পিউটার গুলো সরাসরি আপনি/আমি দেখতে না পারলেও এগুলো কোনো না কোনো ডাটাসেন্টারে ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে। শেয়ার করা কম্পিউটার টা যতক্ষন চালু থাকবে এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকবে ততক্ষণই ওয়েবসাইট এ ঢুকা যাবে।
যেহেতু আপনার ওয়েবসাইট সচল রাখার জন্য কোনো না কোনো প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে, সেহেতু হোস্টিং সার্ভিসের জন্যও প্রতি মাসে বা বছরে একটা নির্দিষ্ট পরিমান ফী দিতে হয়।

৩। ওয়েবসাইট ডিজাইন (কোড):

ডোমেইন আর হোস্টিং এ তো শুধুমাত্র ঠিকানা আর ফাইল রাখায়ার জন্য জায়গা নিশ্চিত করে, কিন্ত ওয়েবসাইটের ঠিকানায় ব্রাউজ করলে কি কি দেখাবে, কিভাবে দেখাবে, কতটুকু নিরাপদ থাকবে এই কাজগুলো আলাদাভাবে করে নিতে হয়।

এই পর্যায়ে দক্ষ ডেভেলপার দিয়ে কাজ করালে তাকে তার ডিমান্ড অনুযায়ী টাকা দিলেই হয়। সে একবার দক্ষতা দিয়ে ডিজাইন এবং ডেভেলপ করে দিলেই মুটামুটি কমপ্লিট ওয়েবসাইটে পরিনত হয়। এরপর সে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট বুঝিয়ে দিলে আপনি নিজেই বিভিন্ন পোস্ট করতে পারবেন, সব কিছু আপডেট রাখতে পারবেন। কয়েক মাস/বছর পর পর ওয়েবসাইট এর খুটিনাটি চেক করা, আপডেট করা এবং নতুন কিছু সংযোজন বা বিয়োজনের ক্ষেত্রেই ডেভেলপারের কাছ থেকে হেল্প নিতে হবে।

এবার একটু মনযোগ দিয়ে খেয়াল করুনঃ

আপনার ওয়েবসাইট বানানোর পর আপনি আপনার কোম্পানির সকল যায়গায় ওয়েবসাইট ঠিকানা ব্যববার করবেন। এমনকি বিজনেস মেইল ও ব্যবহার করবেন। দেখা যাবে, আপনার ব্যবসার নামের পরিচিতির জন্য হয়ত কয়েক লাখ টাকাও খরচ করবেন। “এর কয়েক মাস/বছর পর হটাত করে যদি দেখেন ওয়েবসাইটে ঢুকা যাচ্ছে না, তখন কেমন লাগবে? তারপর যদি দেখেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা করছে? ডোমেইন নামের মালিকানা পরবর্তিত হলে ঝামেলা সমাধান করবেন কিভাবে? অন্য কারও ব্যবসার তথ্য দেখায়?”

বর্তমানে ৭০% বাংলাদেশী মানুষই জানেনা যে তার ডোমেইন নাম সহ ওয়েবসাইট সম্পুর্ণভাবেই অন্যের মালিকানায় এবং এগুলো নিয়ে বিপদে পরার ঝুকিতে আছে।

লক্ষনীয়ঃ

ওয়েবসাইট হলো কয়েকটি সার্ভিসের সমন্বয়। কোনো একটি সার্ভিস বন্ধ থাকলে সম্পুর্ণ ওয়েবসাইটই বন্ধ থাকবে।

মাথায় রাখতে হবে, মানসম্মত সার্ভিসের ক্ষেত্রে খরচ একটু বেশী হবেই। কম খরচের আশায় ফেইসবুকে/গুগলে বিজ্ঞাপনের ফাদে পা দিয়ে লাভ নেই। হয়ত আপনাকে সাময়িক সময়ের জন্য ওয়েবসাইট বুঝিয়ে দিতে পারবে, কিন্ত পরবর্তীতে দেখা যাবে ২-৩ মাস পর আপনি যাদের কাছ থেকে সার্ভিস নিবেন তারা ওয়েব হোস্টিং সার্ভিসের জন্য ডাটা সেন্টারের টাকা পরিশোধ করবেনা। এবং ফলশ্রুতিতে আপনি আপনার সবকিছুই হারাবেন। তাছাড়াও, দক্ষ এবং বিশস্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া কাজ করানোর কয়েক মাস/দিন পরে হটাত হ্যাকিং, বাগ সহ নানান সমস্যার সম্মুখীন হলে সমাধান পাওয়া ঝামেলার হয়।


আমরা আপনাকে কিভাবে সহযোগীতা করতে পারি?

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোম্পানি আইটি বন্ধু লিমিটেড মানসম্মত সেবার জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং তারকারাও আমাদের উপর আস্থা রাখে এবং সার্ভিস ব্যবহার করে। যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সহ অন্যান্য আইটি সেবার জন্য কল করুন আমাদের হটলাইন নাম্বারে: 01938001000


যা না জানলে প্রতারিত হতে পারেন আপনিও! এক নজরে জেনে নিন ভিডিও থেকে!
ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সাবধান! আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন

ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সাবধান! আগে এই বিষয়গুলো জেনে নিন

ডোমেইন নামই ওয়েবসাইটের মেইন পরিচয় বা ঠিকানা। একটি ডোমেইনই মুলত কোম্পানির ইউনিক, ডিজিটাল এবং স্মার্ট পরিচয় যা অত্যন্ত বোধগম্য। যেমনঃ itbondhu.com
কোনো একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমেই ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। সচরাচর রেজিস্ট্রেশন করার সময় সবাই ১ বছর পর্যন্ত মেয়াদ পায় এবং ডোমেইন নামটির মালিকানা ধরে রাখতে একটা নির্দিষ্ট পরিমান রিনিউয়াল/নবায়ন ফী দিতে হয়। যেকোনো সময় অগ্রীম পেমেন্ট করে কয়েক বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে পারে। নামের শেষে যেই এক্সটেনশন লাগানো থাকবে (যেমন .com, .net, .org, .xyz etc) সেটার উপরই রেজিস্ট্রেশন চার্জ এবং রিনিউয়াল খরচ নির্ভর করে।

প্রতিষ্ঠানের নামে প্রফেশনাল/বিজনেস মেইলও ডোমেইন নামের উপরই নির্ভরশীল। যেমনঃ [email protected]

কোম্পানির ডোমেইন ব্যাংক একাউন্টের একটি খালি চেকে সাক্ষর করে আমানত রাখার মত। ব্যাংকে টাকা রাখার মতই ডোমেইনও এক ধরণের আমানত যেটা আপনার সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছে গচ্ছিত থাকে।

নিশ্চয়ই আপনার ওয়েবসাইট বানানোর পর আপনি আপনার কোম্পানির সকল যায়গায় ওয়েবসাইট ঠিকানা ব্যববার করবেন। এমনকি বিজনেস মেইল ও ব্যবহার করবেন। দেখা যাবে, আপনার ব্যবসার নামের পরিচিতির জন্য হয়ত কয়েক লাখ টাকাও খরচ করবেন। “এর কয়েক মাস/বছর পর হটাত করে যদি দেখেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে অন্য কেউ ব্যবসা করছে? অন্য কারও ব্যবসার তথ্য দেখায়? মানে আপনার কোম্পানির ডোমেইনের মালিকানা অন্য কেউ কিনে নিয়েছে!”

সমস্যাটা কি ভাই?

বাংলাদেশে অনেকেই কম খরচে ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস দিয়ে থাকে। কিন্ত সমস্যা টা কম দাম নিয়ে নয়, সমস্যা টা সেবায় এবং বাটপারিতে। হয়ত ওই প্রতিষ্ঠান গুলো একেবারেই কম প্রফিটে ডোমেইন সম্পর্কিত সেবা দিয়ে থাকে, কিন্ত তাদের সেবা নিয়ে অনেকেই বিপদে আছে।

  • ১। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, কম খরচের আশায় যখন নামে বেনামে প্রতিষ্ঠানের কাছ ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করা হয়, তখন তারা তাদের নিজেদের ইমেইল ও পরিচয় দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেয় এবং ক্লায়েন্টকে ডোমেইন ব্যবহারের এক্সেস দেয়। কিন্ত প্রধান এক্সেস দেয়না। অর্থাৎ আসল নিয়ন্ত্রন এবং মালিকানা আইটি কোম্পানির কাছেই থাকে। ফলে যেকোনো সময় তারা ক্লায়েন্টকে বিভিন্ন উদাহরণ ও সমস্যা দেখিয়ে টাকা দাবি করতে পারে।
  • ২। ডোমেইনের দাম যেহেতু দিন দিন বাড়তে থাকার সম্ভাবনা থাকে, কারও কাছে নাম ভালো লাগলে কেনার জন্য প্রস্তাবও করতে পারে। তাই কিছু ডোমেইনের জন্য ভালো সুযোগও পাওয়া যায়। তখন সার্ভিস প্রোভাইডার কারও সাথে যোগাযোগ না করেই ভালো দামে বিক্রি করে দেয়।
  • ৩। আরেক ধরণের সার্ভিস প্রোভাইডার আছে যারা আপনার তথ্য দিয়েই রেজিস্ট্রেশন করে দিবে কিন্ত তারা সময়মত সার্ভিস দিবে না। ফলে দেখা যাবে আপনার ডোমেইন রেজিস্ট্রেশনের পরবর্তীতে রিনিউ করতে সমস্যা হতে পারে। ফলশ্রুতিতে আপনার ডোমেইন অন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করে নেয়ার ঝুকি থাকে। এবং মালিকানা পরিবর্তনেরও সম্ভাবনা থাকে।

ডোমেইনের আসল মালিকের তথ্য দেখবেন কিভাবে?

ডোমেইনের মালিকানা সহ অন্যান্য তথ্য দেখতে who.is এ গিয়ে ডোমেইন লিখে সার্চ করুন। তখন Registrant Contact Information অপশনে মালিকের তথ্য দেখবেন। অথবা whois domain লিখে গুগলে সার্চ করে অন্য ওয়েব টুল গুলোর মাধ্যমেও চেক করতে পারবেন।

বিঃদ্রঃ ডোমেইনে প্রাইভেসি প্রোটেকশন চালু থাকলে Registrant Contact Information এ WhoisGuard Privacy, PrivacyProtect LLC বা অন্য কিছু বিষয় নাম ইমেইল এড্রেস এবং ঠিকানার জায়গায় দেখাবে। তখন ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেল থেকে Privacy Protection অফ করে নিতে হবে। তারপর যদি দেখেন আপনার তথ্য দেখায়, তাহলে মুটামুটি নিশ্চিত থাকতে পারবেন যে আপনার নামেই ডোমেইনটি রেজিস্টার্ড হয়েছে। তবুএ সার্ভিস প্রোভাইডারের সব ক্ষেত্রেই কিছুটা ক্ষমতা থেকেই যাবে। অর্থাৎ সে বিক্রি করতে পারবে, মালিকানা পরিবর্তন করতে পারবে। কিন্ত প্রথম পরিবির্তনে আপনি ইমেইলে জানতে পারবেন যে অমুক বিষয়টা পরিবর্তিত হয়েছে।

আশা করি ইতমধ্যে আপনি বুঝে গিয়েছেন, ডোমেইন কোনো পন্য না। একেবারে কেনার কোনো সুযোগ নেই। তাই এমন প্রতিষ্ঠানকেই বেছে করতে হবে যারা বিশ্বাসযোগ্য এবং আপনাকে যুগের পর যুগ সেবা দিয়ে যাবে। কারণ এটা আপনার একটি আমানত। তাই কেউ ফ্রী দিলেও নেয়ার দরকার নাই। দরকার হলে একটু বেশী টাকা খরচ করে হলেও বিশ্বস্ত সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন করুন।

আমরা আপনাকে কিভাবে সহযোগীতা করতে পারি?

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোম্পানি আইটি বন্ধু লিমিটেড মানসম্মত সেবার জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং তারকারাও আমাদের উপর আস্থা রাখে এবং সার্ভিস ব্যবহার করে। যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সহ অন্যান্য আইটি সেবার জন্য কল করুন আমাদের হটলাইন নাম্বারে: 01938001000

ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন নাতো?

ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন নাতো?

ওয়েব হোস্টিং কেন দরকার?

ওয়েবসাইটে ঢুকলে যা যা প্রদর্শন করবে যেমন অভ্যন্তরীন কোড (যা সরাসরি দেখা যায় না), ছবি, টেক্সট, অডিও, ভিডিও সহ সব ধরণের ফাইল কোনো না কোন কম্পিউটারে (সার্ভারে) রাখতে হয় এবং সেই কম্পিউটারটি সবসময়ই ইন্টারনেট সংযোগ অবস্থায় চালু রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের স্পিডও যথেষ্ট ফাস্ট হতে হবে যেন একসাথে অনেকগুলো ফাইল দ্রুত আদান-প্রদান করা যায়।

আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটারের মাধ্যমেই কাজটি করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় সেটাপ করে ২৪ ঘন্টাই আপনার কম্পিউটার সচল রাখতে হবে এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে। যদি কোনো কারণে কিছুক্ষনের জন্যও ইন্টারনেট চলে যায় অথবা কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে মানুষ ততক্ষন আপনার সাইটে প্রবেশ করতে পারবে না। এসব দেখাশোনা ও রক্ষনাবক্ষনের জন্য দক্ষ মানুষও প্রয়োজন হবে।
এই ধরণের সার্ভার কম্পিউটার বানানো এবং রক্ষণাবেক্ষণ যথেষ্ট ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে। তাই ৯৯.৯৯% মানুষের ক্ষেত্রেই নিজেদের সার্ভারে ওয়েবসাইট হোস্ট করা সম্ভব হয় না।


কিভাবে অন্যের সার্ভার নেয়া যায়? খরচ কেমন?

বিভিন্ন কোম্পানি বা ডাটাসেন্টার আছে যারা শুধুমাত্র কম্পিউটার বা সার্ভার ভাড়া দিয়ে থাকে। অর্থাৎ তারা তাদের এমন কিছু কম্পিউটার ব্যবহার করার সুযোগ দেয় যেগুলোতে ২৪ ঘন্টাই ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা থাকে এবং ২৪ ঘন্টাই চালু থাকে। এই ধরণের সার্ভারগুলোর কনফিগারেশনের উপর ভিত্তি করে মাসিক খরচ দিতে হয়। যেমন আইটি বন্ধু লিমিটেড কিছু কিছু সার্ভারের ভাড়া মাসে ৩০ হাজার টাকারও বেশী দিয়ে থাকে।

কেউ একা একটি ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য সার্ভার সহ অন্যান্য সার্ভিসের মোট খরচ মাসে ৩০ হাজার করে হলে বছরে ৩০,০০০*১২=৩,৬০,০০০ টাকা দেয়ার যুক্তিই নেই। কারণ একটি সার্ভারে শুধু ১টি ওয়েবসাইট নয়, কয়েক হাজার ওয়েবসাইটও হোস্ট করা যায়। তাই খরচ ও ঝামেলা কম করার জন্যই অনেকে মিলে একটি সার্ভার ব্যবহার করে যেখানে মাধ্যম হিসেবে ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার কাজ করে। যেহেতু অনেকে মিলে একটি সার্ভার ব্যবহার করে সেহেতু এটাকে শেয়ার্ড হোস্টিং বলে। এই ধরণের শেয়ার্ড হোস্টিং এ মুলত প্রতিজনকে একেকটি একাউন্ট (cPanel/DirectAdmin/Plesk) দেয়া হয় এবং একাউন্টের জন্য সর্বোচ্চ কতটুকু রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবে সেটার লিমিট সেট করে দেয়া হয়। সার্ভিস প্রোভাইডাররা এমন ভাবেই লিমিট সেট করে যেন যে যত বেশী টাকা দিবে সে সর্বোচ্চ তত বেশী রিসোর্স ব্যবহার করতে পারবে

পণ্য? নাকি সেবা?

আশা করি এবার বুঝেছেন, হোস্টিং কোনো পণ্য না, যে একেবারেই দিয়ে দিতে পারবে। ওয়েব হোস্টিং এক ধরণের সেবা। ওয়েব হোস্টিং প্রভাইডার যত মাস ডাটাসেন্টারকে (example: AWS, Google Cloud, Digital Ocean, Contabo etc) টাকা দিবে, ততদিন তারা সার্ভার কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ পাবে। আবার আপনারা যত মাস পেমেন্ট দিবেন, তত মাস ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। যদি হটাত করে আপনার প্রভাইডার ডাতাসেন্টারকে পেমেন্ট দেইয়া বন্ধ করে দেইয়, আপনি সার্ভিস প্রোভাইডারকে যত বছরের টাকাই দিয়ে থাকেন না কেন। আপনার সাইট উধাও হয়ে যাবে।

চলুন আমরা কিছু ধরণের ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডারের কাজ দেখিঃ

  • উপরে একটা কথা বলেছিলাম, একাউন্টগুলোতে (cPanel) শুধুমাত্র সর্বোচ্চ ব্যবহারের লিমিটই দেখা যায়, কিন্ত আপনার জন্য কোনো মিনিমাম রিসোর্স বরাদ্ধ দেয়ার সুযোগ নেই। ফলে অসাধু সার্ভিস প্রোভাইডাররা সিপ্যানেল একাউন্টে বুঝিয়ে দিচ্ছে রিসোর্স (Disk Space, RAM, I/O, Core) অনেক আছে। কারণ এখানে রিসোর্স অল্প হাকলেও যত ইচ্ছে তত দেয়া যায়/ প্রদর্শন করা যায়। যেহেতু শুধুমাত্র ওইগুলো দেখেই প্রকৃত বিষয়টা বুঝার কোনো উপায় নাই, সবাই বিশ্বাস করে ব্যবহার করতে থাকে। এমনও দেখা গিয়েছে, অনেক ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার শুধু একটি সার্ভারেই সাধারণ ধারণক্ষমতা ৩০০ হলেও ১২০০ ক্লায়েন্ট নিয়ে বসে থাকে। ফলে দেখা যায়, ওয়েবসাইটে ঢুকতে সময় অনেক বেশী নেয়, মাঝে মধ্যে ওয়েবসাইটে ব্রাউজ করা যায়না। আর যেসব ওয়েবসাইটে এ ধরণের সমস্যা বেশী থাকে, সেগুলো গুগল র‍্যাংকও হারানোয় রিস্ক থাকে। একটি ওয়েবসাইট যদি মাঝে মধ্যেই এমন থাকে, একজন ক্লায়েন্ট আসলে কোম্পানি সম্পর্কে কি ধারণা কারতে পারে? আসলে এই ধরণের ওয়েবসাইট/হোস্টিং থাকার চেয়ে না থাকা ভালো।
  • অনেক ওয়েব হোস্টিং প্রোভাইডার আছে যারা খরচ কমানো/অতিরিক্ত লাভের জন্য উপরোক্ত কাজ তো করেই, পাশাপাশি বিভিন্ন ক্রাক সফটওয়্যার সার্ভারে ব্যবহার করে। যেগুলোতে ম্যালওয়্যার থাকার ঝুকি থাকে এবং বিভিন্ন কারণে ক্লায়েন্টদের একাউন্ট/সাইট হ্যাক হবার সম্ভাবনা থাকেই। একবার ভেবে দেখেন তো, আপনি কষ্ট করে সাইটে এত কিছু রাখলেন, ডিজাইন করলেন হটাত করে যদি দেখেন সব অন্যদের হাতে চলে গেলো, আপনার সব কিছু কেউ একজন ডিলেট করে ফেলেছে, তখন কি হবে?
  • আরেক ধরণের প্রভাইডার আছে যারা কি ক্ষতি করছে আপনি নিজেও বুঝার ক্ষমতা নেই। আপনার অজান্তেই আপনার ওয়েবসাইটের সকল তথ্য হাতিয়ে নিবে। যেমন আপনার ক্লায়েন্ট এর তথ্য চুরি করা, বিভিন্ন ধরণের ডাটা এনালাইস করে মার্কেটিং করবে, আপনার ওয়েবসাইট হুবহু ক্লোন করবে, বা নকল আরেকটি ডিজাইন বানানোর জন্য কোড কপি করে নিবে, ইত্যাদি।
  • আরও একটি মারাত্মক গ্রুপ আছে। যারা মুলত অনেকের কাছেই অনেক কিছু বুঝ দিয়ে সার্ভিস দিবে, এবং অনেকগুলো ক্লায়েন্ট কালেক্ট করবে। যেহেতু এই সার্ভিসগুলো নেয়ার ক্ষেত্রে সবাই বাতসরিক খরচ দেয়, সেহেতু সবার কাছ থেকেই ১ বছরের অগ্রীম পেমেন্ট নিয়ে নেয়। তারপর ২/১ মাস সার্ভিস দেয়ার পরই তারা সব কিছু নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তখন সাইটের হোস্টিংও খুজে পাওয়া যাবেনা। এরকম কেইসগুলো গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে এবং ভবিষ্যতেও বাড়বে। এ ধরণের সমস্যা হলে, ক্লায়েন্টের সকল কষ্ট+টাকা বৃথা যায়। কারণ ওয়েবসাইট এর ডিজাইনও হারিয়ে ফেলতে হয়। মানে এরপর ক্লায়েন্টের কাছে আর কিছুই থাকেনা।

লক্ষনীয়ঃ

এবার আপনি নিজেই ভেবে দেখুন, আপনি কম দামে ওয়েব হোস্টিং নিয়ে কি এসব ধরণের ঝামেলায় পড়বেন? নাকি একটু বেশী খরচ দিয়ে হলেও যাচাই বাছাই করে সার্ভিস নিবেন? মাথায় রাখবেন, ফেইসবুকে শুধু পেইজ খুলেই অনেকে নামে বেনামে ব্যবসা করছে। শুধু পেইজ লাইক দিয়েই বা রিভিউ দিয়েই এসব বিচার করবেন না। কারণ টাকা দিয়ে এসব লাইক আর রিভিউ কেনা যায়। এসব সার্ভিস নেয়ার আগে একটু ঘাটাঘাটি করে দেখবেন এটা কোনো প্রকৃত কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান কিনা। আসলেই এদের লিগ্যাল কোনো এন্টিটি আছে কিনা। সব দিক বিচার করে দেখলে যদি অথেন্টিক এবং ট্রাস্টেড মনে হয় তারপর সার্ভিস নিবেন।

আমরা আপনাকে কিভাবে সহযোগীতা করতে পারি?

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোম্পানি আইটি বন্ধু লিমিটেড মানসম্মত সেবার জন্য স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং তারকারাও আমাদের উপর আস্থা রাখে এবং সার্ভিস ব্যবহার করে। যেকোনো ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি, ওয়েব হোস্টিং, ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন সহ অন্যান্য আইটি সেবার জন্য কল করুন আমাদের হটলাইন নাম্বারে: 01938001000